### কবি বন্দে আলী মিয়া কবিতায় বলেছিলেন
আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান
আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে বাঁচাইয়াছে প্রাণ।
মাঠ ভরা ধান তার জল ভরা দিঘি,
চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি
কবির এমন কবিতায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার গ্রামের হৃদয় । গ্রাম মানেই সবুজ-শ্যামল, গ্রাম মানেই পাখির গান,গ্রাম মানেই ছায়াঘেরা মনোরম এক জনপদ। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ, খাল-বিলে ফুটে আছে শাপলা পদ্ম! গ্রাম মানেই জোনাকির স্বপ্নীল ওড়াউড়ি।

### গ্রামগুলো যেন স্বপ্নের মতন সাজানো-গোছানো
স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মোহনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঢাকা আমাদের প্রত্যেকটি গ্রাম। গ্রামগুলোতে প্রত্যেকটি ঋতুর পরিবর্তনের সাথে তারা পাল্টে যায় নতুন রুপে, বাতাসে উরে নতুন নতুন ফুলের গন্ধ। যদিও ক্রমাগত নগরায়নের ফলে গ্রামের সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে, গ্রামের নানা ঐতিহ্য, রুপ আর সৌন্দর্য আর দেখতেই পাওয়া যায় না। তবুও যা টিকে আছে তার কতটুকুই বা উপভোগ করি আমরা? গ্রামের মনোলোভা সৌন্দর্য অবগাহন করতে তাই তো পল্লীকবি জসিমউদ্দীন আকুল কন্ঠে ডেকেছিলেন 'নিমন্ত্রণ' কবিতায়-

( যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়,
ঘন কালো বন-মায়া মমতায় বেঁধেছে বনের বায় )


### ধান চাষ করতে হলে প্রথমে বীজতলা তৈরী করতে হয়
সেখানে বীজ ছিটিয়ে রেখে কয়েকদিন সেচ দিতে হয় তারপর ছোট চারা তৈরী হলে সেগুলোকে তুলে প্রধান জমিতে রোপন করা হয়। ধান চাষে প্রচুর পানির দরকার হয়। গাছের গোড়ায় অনেকদিন পর্যন্ত পানি জমিয়ে রাখা হয়। সাধারণত নল তৈরী করে, আইল বানিয়ে পানি ধরে রাখা হয়। আগাছা, রোগবালাই ও পোকামাকড় এর কারণে ধানের উৎপাদন কমে যেতে পারে। ধাড়ি ইঁদুর ধানের অন্যতম প্রধান শত্রু। সাধারণত জমিতে পানি আটকে রেখে আগাছাসহ এর উৎপাত কমানো যেতে পারে।



### বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ
নানা রকম কৃষিজাত পণ্য এদেশে উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে পাট অন্যতম। বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট দেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীব্যাপি। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথকে করেছে সুগম। তাই একে ‘স্বর্ণসূত্র’ বা সোনালি আঁশ বলা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের পাট উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। এদেশের পাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে

### আমার গ্রামের এই বছর তেমন পাট চাষ হয় নি
তবে আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। নানা রকম কৃষিজাত পণ্য এদেশে উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে পাট অন্যতম। বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট দেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীব্যাপি। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথকে করেছে সুগম। তাই একে ‘স্বর্ণসূত্র’ বা সোনালি আঁশ বলা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের পাট উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। এদেশের পাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে

### বাংলাদেশে পাট শিল্প প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
পাট শিল্প এদেশের অর্থনীতির সোনালি ঐতিহ্য। এক সময় পাটই ছিল বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৯০ ভাগই আসতো পাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকে। স্বাধীনতার পূর্বে বাংলা ছিল পাট উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র। এদেশের পাটের উপর ভিত্তি করেই সে সময় ভারত ও যুক্তরাজ্যে পাট শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। যুক্তরাজ্যের ডান্ডিতে স্থাপিত পাটকলসমূহ পূর্ব বাংলার পাট দিয়েই চলতো। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর অনেক পাটকল এদেশে স্থাপন করা হয়। ১৯৫১ সালে প্রথম বাংলাদেশে পৃথিবীর বৃহত্তম পাট কল ‘আদমজী পাটকল’ স্থাপিত হয়।
