![img_0.6326287827364665.jpg](https://images.ecency.com/DQmXMhvHhkbWGtBiCsY3kXmuJ3wPCHiAzGfQoTbfwUoXGns/img_0.6326287827364665.jpg)

কোভিড নাইনটিন সার্ভে সংক্রান্ত কাজে গতকাল ঘুরে এলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ছোট একটি গ্রামে। সার্ভের কাজের পাশাপাশি পুরো গ্রামটাও ঘুরে দেখেছিলাম। সুন্দর, গুছানো, ছিমছাম এক গ্রাম যেন কোনো শিল্পী নিঁপুন হাতের জাদুতে সবকিছু সাঁজিয়ে রেখেছে। দুই পাশে বিস্তৃত ধান খেত, পুকুর, বিল, গাছপালা কোনো কিছুরই যেন অভাব নেই এখানে। গ্রামে ঢুকার সময়েই বিশাল বড় বট গাছ, আর তার পাশে প্রাইমারি স্কুল। স্কুল বন্ধ থাকায় ছিলো না বাচ্চাদের আনাগোনা। তবে স্কুলের পাশের ছোট টং এর দোকানে বসে কয়েকজন বৃদ্ধ বসে আড্ডা দিচ্ছিল। আমরা গিয়ে নিজেদের পরিচয় দেয়ার পর আমাদেরকেও চা খাইয়েছিল। 


![img_0.4377037209016616.jpg](https://images.ecency.com/DQmcziC4sLeEvpjwdjicvXj7GicFzpk7XDRYvU7uCYGxTaz/img_0.4377037209016616.jpg)


![img_0.5032801336622215.jpg](https://images.ecency.com/DQmdkB5gBsTDkMzC38aR5utSNAmaHs1ak4D17UwS6ERfGMy/img_0.5032801336622215.jpg)


![img_0.420353777090107.jpg](https://images.ecency.com/DQmWYMEHyWzk3pkfNe8EZCSDattnzh2A5FGUaWEqMhGsakD/img_0.420353777090107.jpg)



আমরা বেশ কিছু সময় ওখানে বৃদ্ধদের সাথে বসে কথা বলেছিলাম। কথায় কথায় প্রত্যেকেই নিজেদের পুরানো কিছু স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। তাদের মাঝে একজন আবার আমাদেরকে সার্ভে সংক্রান্ত কাজে সাহায্যও করেছিলেন। গ্রামের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অনেকের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।


![img_0.9849457917232731.jpg](https://images.ecency.com/DQmXgrZEGRcGaXNJD8AX6V5YNEddq5uzEcKg5U64Pw1Q32r/img_0.9849457917232731.jpg)



![img_0.671668873899804.jpg](https://images.ecency.com/DQmcTu8uy48vCiszibgVpwiKEikwAp39TfgyJj3Ezxhxk8X/img_0.671668873899804.jpg)



টং এর দোকান থেকে বের হয়ে আমরা ছোট টমটম করে গ্রামের আঁকা বাঁকা ছোট রাস্তা ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। রাস্তার দুই পাশের চিত্র আমাদের বার বার মুগ্ধ করছিল। যতদূর চোখ যায়, শুধু কৃষিজ জমি। নীল আকাশ যেন সবুজ জমিনের সাথে এসে মিশে গিয়েছে। 


![img_0.3017334250460719.jpg](https://images.ecency.com/DQmWDBynxyBWUPx47sBUYmT4mxuZcDpEWyir2iCjUvXQ7rC/img_0.3017334250460719.jpg)


গ্রামের ভেতর ঢুকার সময় মনে হচ্ছিল গ্রামে মানুষের সংখ্যা অনেক কম। পুরোপুরি ঢুকার পর অবশ্য তার প্রমাণও পেলাম। অন্যান্য গ্রামের তুলনায় এই গ্রামে মানুষের সংখ্যা আসলেও কম ছিল। বাড়িঘরও বেশ পুরানো, টিনের তৈরি। অন্যান্য গ্রামের মতো এখানে বিল্ডিং ও তেমন একটা নাই। 

যায় হোক, করোনার সার্ভের জন্য গেলেও এখানে করোনার রোগী পেলাম না। গ্রামের ভেতর এমনিতেও বাইরের মানুষের আনাগোণা কম। তার উপর জনসংখ্যা কম হওয়ার কারণে মোটামুটি সেইফ জোনে রয়েছে এই গ্রামটি। 


![img_0.3869579804614813.jpg](https://images.ecency.com/DQma4peZJBRyz1jcWwBFtCsqPwD3uCxzD6HtFw4qYZW3bNG/img_0.3869579804614813.jpg)


![img_0.2568414655338764.jpg](https://images.ecency.com/DQmcyzGtW4UJfbf9xuqMDQBfhBCMG2eZYk9Uvat31AU6wGb/img_0.2568414655338764.jpg)



![img_0.2923019810782118.jpg](https://images.ecency.com/DQmXDbV2iai4qvSTRXGn23AppHuhxrnr8wu6QxWAM6iWFrP/img_0.2923019810782118.jpg)


সারাদিনে অনেক মানুষের সাথে কথাবার্তা বলার পর আমাদের ফেরার সময় হলে আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। আমরা তখন গ্রামের বাইরে চলে এসেছিলাম। বৃষ্টি শুরু হলে পাশের এক কলেজে আশ্রয় নিই। প্রায় দুই ঘন্টার মতো আমরা সেখানে আটকে ছিলাম। বৃষ্টি শেষ হলে রওয়ানা দেয়ার পর বাসায় ফিরে আসতে আসতে রাত হয়ে গিয়েছিল অনেকটা। 


![img_0.8525054378003015.jpg](https://images.ecency.com/DQmRRUbEMpNu6phK3SQNNh3ibPj36ZMnrdkyLnMfffJ4fAA/img_0.8525054378003015.jpg)


![img_0.303168958004709.jpg](https://images.ecency.com/DQmS9bzPLSLnq5M2b1SRE77vCBmLggPA9Kv4iEeEezgaSeF/img_0.303168958004709.jpg)



এবার একটা মজার ঘটনা শেয়ার করা যাক। আমরা যে গ্রামে গিয়েছিলাম, সেখানে একটা পেঁপের বাগান ছিল। বাগানের মালিকের সাথে পরিচয় হবার পর ফিরে আসার সময় আমাদের কয়েকটা পেঁপে উপহার দিয়েছিল। কিন্তু ফেরার সময় সেই পেঁপে আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।