আপনি আমি চাইলেই আমরা যে কোন নামে যেকোনো প্রতিষ্ঠান খুলতে পারি না। তার অবশ্যই অনেক কারণ রয়েছে। আর নামকরনের আইন ও সেই অনুমতি দেয় না। যে সব নাম করনে অতিরিক্ত প্রভাব বা সুবিধা উপভোগ করা যায় সেই সব নামে রেজিঃ দেওয়া হয় না।
আচ্ছা আমি কি চাইলে বঙ্গবন্ধুর নামে যে কোন প্রতিষ্ঠান বানাতে পারবো, আমি কি চাইলেই কোন প্রধানমন্ত্রীর নামে রাইস মিল বানাতে পারবো? মওলানা ভাসানীর নামে ডেকোরেটর সার্ভিস বানাতে পারবো? নিশ্চয় না। নামকরন আইন আমাদের সেই অনুমতিও দেয় না ।
সামান্য ফেসবুকেই দেখুন না আপনি চাইলেই সব নাম ব্যবহার করতে পারবেন না। এমন কিছু নাম আছে যেটা আপনি করে ফেললেও বেশি দিন রাখতে পারবেন না।
রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী স্পিকার এই ধরনের ব্যক্তিদের নাম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় না রাষ্ট্রের ন্যায় নীতির স্বার্থে। যাতে চিটার বাটপার ধোঁকাবাজরা এইসব নাম ভাঙ্গিয়ে যেন খেতে না পারে। এই কারণে আর্দশবান রাষ্ট্রনায়করা আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের ক্ষমতার বলয় থেকে দুরে রাখে ক্ষমতার মিস ইউজ বন্ধে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে।
আমাদের দেশে এই নিয়মের বাইরে না থাকলেও আমাদের দেশে ধুরন্ধর বাটপার টাইপের মালের সংখ্যাও কম না। আইনের ফাঁক ফোকরের অপব্যবহার বেশ ভালোই জানে।
আমাদের দেশে প্রজন্ম ৭১, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তুলে এইসব সংগঠন নিয়ে রাজনীতি করতে দ্বিধা করছে না। এইসব নাম করনের আইনে ভিত্তিহীন না হলেও মূল স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক। মুক্তিযুদ্ধকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যবহার করা মানেই দেশের নাগরিকদের আবেগ নিয়ে খেলা। যেমনটা ধর্মীয় আবেগ নিয়ে খেলা উচিত নয় ঠিক তেমনি নাগরিকের দেশ প্রেমের আবেগ নিয়ে খেলা উচিত নয়।
আরো ভয়ংকর চিত্র হচ্ছে বানিজ্যিক ক্ষেত্রে। ২১শে টিভি, ৭১ টিভি, ২১ শে রেস্তোরা এমন শত শত নাম সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে। এইসব বানিজ্যিক কোম্পানি গুলো আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ও দেশ প্রেমের কেন্দ্র গুলোকে ব্যবহার করে বানিজ্য করে।
আমার এইসব বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ জুরে ৭১ টিভি বর্জনের ডাক শুনা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এই ৭১ টিভি মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোই যেন এদের মূল উদ্দেশ্য।
এরা দালালীর সকল সীমা অতিক্রম করেছে। সরকার বা সরকার দলীয় সন্ত্রাস দুর্নীতিকে এরা অক্সিজেন জোগায়। সকল অন্যায়কে ৭১ এর চেতনায় ধুয়ো তুলিয়ে জাস্টিফাই করে। যারা আলোচিত ধর্ষনের ঘটনাগুলোকে মুখে বিচি এটে বসে থাকে আর একটা প্রশ্নবিদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় নুরুকে নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করে বসে তারা তো শু*** বাচ্চায়।
যারা ল্যাটাকা আবেগে নিয়ে ভণ্ডামি করে পূর্ণিমার ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে চেতনার ব্যবহ্যার ফাঁদ পাতে অথচ সূবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপরাধে ধর্ষিত হলে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে চেতনার তখন গভীর নিদ্রায় নিমজ্জিত থাকে তাকৈ শু**** বাচ্চা বললে কি খুব দোষ হবে।
ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট লোভী হাড্ডি চেটে যাওয়া শুয়োর গুলো কি আসলে কোন শান্তি পাচ্ছে?
বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে এক একজন ভিসুভিয়াস, সাকুরাজিমা, নিইরাগাঙ্গো হয়ে আছে। একদিন তারা বিস্ফারিত হবে। তাদের দ্রোহের আগুনে জ্বলে পুরা অঙ্গার হয়ে যাবি তোরা, তোদের চেতনা।
এক বড় ভাইয়ের কথা এখন খুব মনে পরে, সাংবাদিকরা মানুষের বীর্যের মত, মিলিয়নে একটা মানুষ হয়।
![Rudra.01.jpg](https://files.peakd.com/file/peakd-hive/steemitwork/PUKGUTSq-Rudra-.-01.jpg)
<center>[sourve](https://www.google.com/search?q=সাংবাদিকতা+ও+নৈতিকতা&client=ms-android-samsung-gj-rev1&prmd=vin&sxsrf=ALeKk02iLFyE2mZWUH7dKKI0hqi0Ven6cA:1602701179468&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ved=2ahUKEwjhk-6T37TsAhUljuYKHclyC8QQ_AUoAnoECAQQAg&biw=360&bih=645#imgrc=gZ6Nd37JQvcx1M)</venter>